জামেয়া কাসেমিয়ার আজ যে পরিচয় বহন করে চলছে, তার পেছনে মুখ্য ভুমিকায় রেখেছেন প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক, আলেমে দ্বীন, আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বক্তা মাওলানা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী। যার রয়েছে জাতীয় পর্যায় পেরিয়ে আর্ন্তজাতিক পরিমÐলে ব্যাপক পরিচিতি। বিশেষ করে বিশ্ব বিখ্যাত ওলামায়ে কেরামের মাঝে তিনি একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব। বিচক্ষন আর দূরদৃষ্টিসম্পুন্ন এই মানুষটির আদি বসতি দ্বীপাঞ্জল ভোলায়। তিনি ১৯৪৫ সালে ৩ মার্চ জন্মগ্রহন করেন । জনাব জাফরী ছাত্র জীবনের এক পর্যায়ে কুমরাদি সিনিয়র মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। তিনি কৃতিত্বের সাথে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্র জীবন শেষে কিছুদিনের জন্য দুর্বাটি আলিয়ায় শিক্ষকতা করেছিলেন। এক সময় তিনি ডাক পেলেন নরসিংদীর এলাকার মানুষের কাছ থেকে। ইতোমধ্যে তিনি একজন সুবক্তা হিসেবে অত্র এলাকায় পরিচিত অর্জন করেন। সেই সুবাদে তাঁর প্রতি মানুষের আকক্সক্ষা একটু বেশি ছিল। তিনি ১৯৭৬ সালের এক মাহেন্দ্রক্ষণে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন জামেয়া প্রতিষ্ঠার। এরপর উচ্চ শিক্ষার্থে সৌদি আরব গমন করেন। মক্কা উম্মুলকুরা ইউনির্ভাসিটি থেকে ‘লিসান্স ইন এ্যারাবিক’ এ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে তার কৃতিত্ব ও যোগ্যতা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সৌদি বেতারে তখন তিনি নিয়মিত আলোচক ছিলেন। বিদেশে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে তিনি সমন্বয় করে জামেয়াকে একটা আদর্শ প্রতিষ্ঠানে রূপ দেয়ার স্বপ্ন দেখতে লাগলেন। দেশে ফিরে এলেন এক সময়। নতুন উদ্যোমে শুরু করলেন জামেয়ার কার্যক্রম, আর পেছন ফিরে তাকাননি তিনি। স্বপ্ন, জাগরণ, আশা কল্পনা সবই তার আবর্তিত হতে লাগল জামেয়াকে ঘিরে। যার ফলশ্রæতিতে আজ জামেয়া পরিণত হয়েছে বিশাল এক প্রতিষ্ঠানরূপে। তিনি এখন ভাবছেন জামেয়াকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা। জনাব জাফরী নানা সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত আছেন। বাংলাদেশে সুদবিহীন অর্থ ব্যবস্থা প্রবর্তনে তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।